
ব্রণ দূরীকরণসহ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয় মধু। ছবি: সংগৃহীত
মধুর উপকারিতার শেষ নেই। মধু যে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ভালো রাখে তা কিন্তু নয়। রুপচর্চায়ও মধু দারুণ ভূমিকা রাখে। প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ত্বক নরম রাখে, বলিরেখা ও কালচে ভাব দূর করে। এটি ব্রণের জীবাণুও ধ্বংস করে। অল্প সময়ে উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে মধুর কোনো বিকল্প নেই।
বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের লাইফস্টাইল বিভাগে রূপচর্চায় মধুর
জাদুকরী ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
জানুন রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার সম্পর্কে:
মধু ও লেবুর রস
এক চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ২০ মিনিট
মুখ ম্যাসাজ করুন। এরপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে।
মধুর স্ক্রাব
এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ চিনি মিশিয়ে ১০ মিনিট
মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগান। এটি ত্বকের মরা কোষ
দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করবে।
মধু ও কলার প্যা্ক
এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে সামান্য কলা চটকে নিয়ে প্যাক তৈরি
করুন। ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি
ত্বকের কালচে ভাব দূর করবে এবং ত্বক উজ্জ্বল করবে।
মধু ও টক দই
তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের জন্য মধু ও টক দই কার্যকরী। এক
টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে এক টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট অপেক্ষা
করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর ব্যবহারে ত্বকের ব্রণও দূর হবে।
মধু ও পেঁপে
দুই টুকরো পেঁপে চটকে নিয়ে এর সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে
ঘন প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পর
মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। এ ছাড়া বয়সের ছাপ
দূর করতেও এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
মধু,
গোলাপজল ও হলুদের
গুঁড়া
গোলাপজল টোনার হিসেবে কাজ করে। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি করে। এক টেবিল চামচ মধু, কয়েক ফোঁটা গোলাপজল ও সামান্য হলুদের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে
মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে দ্রুত উজ্জ্বল করবে।
মধু ও মিল্ক ক্রিম
এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ মিল্ক ক্রিম একসঙ্গে মিশিয়ে ১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বকের বলিরেখা দূর করবে।